মাতাই পুখিরি

মাতাই পুখিরি


খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি সড়কের মহালছড়ি থেকে চার কিলোমিটার দূরে মহালছড়ি উপজেলার নুনছড়ি মৌজার ত্রিপুরা পাড়ায় অবস্থিত মাতাই পুখিরি। যা ত্রিপুরা/ত্রিপুরী/টিপরা সম্প্রদায়ের কাছে একটি পবিত্র স্থান। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে ত্রিপুরা পাড়ার একপাশে পাহাড়ি ঝর্ণা, অন্যপাশে সিঁড়ি। ছায়াঘেরা পথ ধরে ১ হাজার ৪৮১ ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার পর দেখা মেলে মাতাই পুখিরি নামক স্বচ্ছ এই পুকুরের। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মত। ত্রিপুরা ভাষায় মাতাই পুখিরি অর্থ দেবতার পুকুর। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫শত ফুট ওপরে পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় হাজার ফুট এবং প্রস্থ ছয়শত ফুট। এই জলাশয়ের পানি কখনো শুকিয়ে যায়না কেননা হালকা শুকালেও পরবর্তী বৃষ্টিতে অথবা বর্ষাকালে এই জলাশয়ের পানি আবার ভরে ওঠে। জলাশয়ের পানি কখনো পরিষ্কারও করতে হয়না। স্থানীয় লোকদের বিশ্বাস মতে দেবতা এই এলাকার লোকদের পানির চাহিদা মেটাতে এই হ্রদ অথবা জলাশয় সৃষ্টি করেছেন। টিপরা সম্প্রদায়ের কাছে এই জলাশয় পবিত্র বিধায় প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে এখানে তীর্থ মেলা বসে। পূজারিদের জন্য এখানে রয়েছে একটি শিবমন্দির। পাঁচ একরের এই পুকুরটির পাশেই রয়েছে বটগাছসহ আরো অনেক গাছ। ২০১৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পর্যটকদের সুবিধার্থে নির্মাণ করে দেয় পাকা সিঁড়ি ও বিশ্রামের জন্য নানান অবকাঠামো।


মাতাই পুখিরির ইতিহাস

স্থানীয়দের মাঝে মিথ আছে যে, একসময় পাহাড়ের চূড়ায় দুপাশে দুটি পাড়া ছিল। পাড়ায় একজন জুমিয়া জুম চাষ করতেন। একপর্যায়ে ওই জুমিয়া/জুমচাষী স্বপ্নে পাহাড়ের উপর জুম চাষে নিষেধের নির্দেশনা পান। কিন্তু স্বপ্নকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রতি বছর জুম চাষ করতে থাকেন। হঠাৎ এক অমাবস্যার রাতে এক প্রলংঙ্করী ভূমিকম্পে জুম চাষের জায়গাটি ফেটে একটি বিশাল পুকুরের তৈরি হয়। তখন থেকে স্থানীয়রা একে মাতাই পুখিরি বা দেবতার পুকুর ডাকেন।

কখন যাবেন
যেহেতু ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জন্য একটি পবিত্র স্থান মাতাই পুখিরি, তাই বছরের পুরো সময়টা জুড়েই তাদের আনাগোনা এখানে লেগেই থাকে। তবে বাংলা বছরের শেষে চৈত্র সংক্রান্তিতে এখানে তীর্থ মেলা হয়। এ সময় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা পর্যটক দর্শনার্থীদের জন্য শীতল পানিয় বিতরণ করে থাকে এবং মেলায় পাওয়া যায় নানান ধরনের পাহাড়ি পিঠা। তাই বলা যায় চৈত্র সংক্রান্তির সময়টিই মাতাই পুখিরি যাওয়ার উপযুক্ত সময়।
বিশেষ পরামর্শ
আপনার ও জনসাধারণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে কিছু বিশেষ তথ্য ও কাগজপত্র দিতে হবে –
হোটেল কর্তৃপক্ষকে যেসব তথ্য ও কাগজপত্র দিতে হবে—

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • বাস, ট্রেন অথবা বিমানের টিকেটের ফটোকপি
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
  • হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী ফর্মের ফটোকপি
  • অগ্রিম কিছু ভাড়া
  • বিদেশীদের জন্য পাসপোর্টের ফটোকপি
  • সচল মোবাইল ফোন নম্বর
  • বর্তমান নাম ও ঠিকানা
  • খাগড়াছড়ি ভ্রমণের যৌক্তিক কারণ
  • অগ্রিম ভাড়া নিলে ইমেইল বা ফর্মের ফটোকপি
বিশেষ সতর্কতা
যেহেতু পাহাড়ি অঞ্চলে নিরাপত্তা নিয়ে একটু শঙ্কায় থাকতে হয়, তাই আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে –

  • হোটেলের নিরাপত্তা দেখা: পাহাড় অঞ্চলে প্রায়শই সন্ত্রাসী, ডাকাত, অপহরণকারীর উপদ্রব দেখা যায়। তাই হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন আগে দেখে নেবেন। নিরাপত্তা কর্মীরা কতটা তৎপর সেটাও খোঁজ নেবেন।
  • নিচতলার রুম না নেওয়া: হোটেলের নিচতলায় শব্দ, মশা, এসবের উৎপাৎ বেশি থাকে। নিচতলার জানালা গুলো চোর-ডাকাতের নাগালের মধ্যে থাকে। তাই কখনোই নিচতলার রুম ভাড়া নেওয়া উচিৎ না।
  • ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দেওয়া: হোটেল কর্তৃপক্ষকে কোনো আপনজনের ফোন নম্বর দিয়ে রাখতে পারেন। কোনো বিপদে পড়লে বা ফোন হারিয়ে গেলে তারা আপনার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে। আবার হোটেলের ঠিকানা ও ফোন নম্বর আপনজনকে জানিয়ে রাখবেন।
  • সামাজিক মাধ্যমে সচেতন থাকা: স্থানীয় কারো গোপনীয়তা নষ্ট করে ছবি-ভিডিও তুলবেন না। আবার কাউকে নিজের বর্তমান লোকেশন জানাবেন না। নির্জন এলাকা হওয়ায় শত্রুতাবশত যে কেউ আপনার ক্ষতি সাধন করতে পারে।
  • জিনিসপত্র সাবধানে রাখা: রুম পরিষ্কার করার সময় নিজের ব্যক্তিগত জিনিসে নজর রাখবেন। আবার রুমে কোথাও লুকানো ক্যামেরা আছে কিনা যাচাই করবেন।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর দূরত্ব
ঢাকা
২৭২ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
রাজশাহী
৫১৫ কি.মি. (নাটোর – সিরাজগঞ্জ – টাঙ্গাইল – ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
রংপুর
৫৬৫ কি.মি. (বগুড়া – ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
সিলেট
৩৮২ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
ময়মনসিংহ
৩৯৪ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)
খুলনা
৩৬৯ কি.মি. (বাগেরহাট – ঝালকাঠি – বরিশাল – লক্ষ্মীপুর → ফেনী – বারৈয়ার হাট হয়ে গেলে)
বরিশাল
২৬০ কি.মি. (ভোলা – লক্ষ্মীপুর – কাবিলপুর – ফেনী – বারৈয়ার হাট হয়ে গেলে)
চট্টগ্রাম
১০৬ কি.মি. (খাগড়াছড়ি রোড হয়ে গেলে)

মাতাইপুখিরি খাগড়াছড়ি জেলা হওয়ায় আপনাকে আগে খাগড়াছড়ি যেতে হবে।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-

  • আব্দুল্লাহপুর
  • আরামবাগ
  • পান্থপথ
  • ফকিরাপুল
  • সায়েদাবাদ
  • গাবতলী
  • কলাবাগান
বাস সমূহ:-

  • সেন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • শ্যামলী পরিবহণ
  • সৌদিয়া পরিবহণ
  • হানিফ পরিবহণ
  • শান্তি পরিবহণ
  • এস আলম সার্ভিস
  • হিমাচল পরিবহণ
  • লন্ডন এক্সপ্রেস
  • মিয়ামি পরিবহণ
  • দেশ ট্রাভেল
  • গ্রীন লাইন
  • ইকোনো সার্ভিস
  • রয়্যাল পরিবহণ
  • ঈগল পরিবহণ
  • সেঁজুতি পরিবহণ
  • টি আর ট্রাভেলস
  • রিফাত পরিবহণ
  • লাল সবুজ পরিবহণ
  • ইম্পেরিয়াল স্লিপার কোচ
  • রিল্যাক্স ট্রান্সপোর্ট

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

খাগড়াছড়িতে কোনো রেলওয়ে স্টেশন নেই। রেলওয়ের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে আপনাকে ফেনীতে নামতে হবে। কিন্তু ফেনী থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

বিমান

খাগড়াছড়িতে কোনো বিমানবন্দর নেই। সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দর চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • রাজশাহী বাস স্টান্ড
  • শিরুল
  • কাজলা
  • বিনোদপুর
  • বিহাশ মোড়
  • কাটাখালী
  • বানেশ্বর
  • পুটিয়া

বাস সমূহ:-

  • সোনিয়া পরিবহণ
  • শান্তি পরিবহণ

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

খাগড়াছড়িতে কোনো রেলওয়ে স্টেশন নেই। রেলওয়ের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে আপনাকে ফেনীতে নামতে হবে। কিন্তু ফেনী থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

বিমান

খাগড়াছড়িতে কোনো বিমানবন্দর নেই। সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দর চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ঢাকা (কামার পাড়া) বাসস্টান্ড
  • মিঠাপুকুর
  • শঠিবাড়ি

বাস সমূহ:-

  • শান্তি পরিবহণ

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

খাগড়াছড়িতে কোনো রেলওয়ে স্টেশন নেই। রেলওয়ের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে আপনাকে ফেনীতে নামতে হবে। কিন্তু ফেনী থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

বিমান

খাগড়াছড়িতে কোনো বিমানবন্দর নেই। সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দর চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

সিলেট থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • সিলেট বাসস্টান্ড
  • কদমতলী
  • হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর
  • সোভানি ঘাট

বাস সমূহ:-

  • শান্তি পরিবহন
  • শ্যামলী পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

খাগড়াছড়িতে কোনো রেলওয়ে স্টেশন নেই। রেলওয়ের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে আপনাকে ফেনীতে নামতে হবে। কিন্তু ফেনী থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

বিমান

খাগড়াছড়িতে কোনো বিমানবন্দর নেই। সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দর চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস সমূহ:-

  • শান্তি পরিবহণ (শামীম এন্টারপ্রাইজ)

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

খাগড়াছড়িতে কোনো রেলওয়ে স্টেশন নেই। রেলওয়ের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে আপনাকে ফেনীতে নামতে হবে। কিন্তু ফেনী থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

বিমান

খাগড়াছড়িতে কোনো বিমানবন্দর নেই। সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দর চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

খুলনা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

খুলনা শহর থেকে খাগড়াছড়িতে যাওয়ার কোনো বাস সার্ভিস নেই। তাই খুলনা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে প্রথমে আপনাকে ঢাকা অথবা বরিশাল গিয়ে খাগড়াছড়ির বাসে উঠতে হবে।

ট্রেন

খাগড়াছড়িতে কোনো রেলওয়ে স্টেশন নেই। রেলওয়ের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে আপনাকে ফেনীতে নামতে হবে। কিন্তু ফেনী থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

বিমান

খাগড়াছড়িতে কোনো বিমানবন্দর নেই। সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দর চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • নাটুল্লাবাদ

বাসসমূহ:-

  • শান্তি পরিবহণ
বিমান

খাগড়াছড়িতে কোনো বিমানবন্দর নেই। সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দর চট্টগ্রাম বিমানবন্দর। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার হওয়ায় বাস সার্ভিস ব্যবহার সুবিধাজনক।

চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শহর থেকে কক্সবাজারগামী অনেক লোকাল বাস সহ সারা বাংলাদেশের সকল বাস চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যায় বলে অনেক কোচ বাস পাওয়া যায়)

বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • দামপাড়া
  • সিনেমা প্যালেস
  • নতুন ব্রিজ
  • চাটগাওন বাস পয়েন্ট
  • ডলফিন চত্তর
  • চিটাগং বাস স্ট্যান্ড
  • অলংকার মোড়
বাস সমূহ:-

  • শান্তি পরিবহণ
  • ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস

খাগড়াছড়ি শহর থেকে জীপ অথবা চান্দের গাড়িতে নুনছড়ি হয়ে খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি-রাঙামাটি সড়কের কাছেই রয়েছে মাতাই পুখিরির সিঁড়ি। যোগাযোগ সম্পর্কিত সকল তথ্য (বুকিং সম্পর্কিত, অফিসে যোগাযোগ সংক্রান্ত ইত্যাদি) সরকারি ওয়েবসাইটে দেয়া রয়েছে।

দেখতে এখানে ক্লিক করুন।


থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

(থাকা খাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি শহরেই সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে।) এছাড়াও থাকা ও খাওয়া

সম্পর্কিত সকল তথ্য (বুকিং সম্পর্কিত, অফিসে যোগাযোগ সংক্রান্ত ইত্যাদি) সরকারি ওয়েবসাইটে দেয়া রয়েছে।

দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

আবাসিক হোটেলসমূহ

জনপ্রিয় হোটেলসমুহ:-

  • খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল
  • হোটেল ইকো ছড়ি ইন
  • শৈল সুবর্ণ
  • হোটেল হিল টাচ
  • হোটেল মাউন্ট ইন
  • হোটেল নূর
  • গাংচিল আবাসিক
  • অরণ্য বিলাস
  • জিরান হোটেল
  • হোটেল লিবয়ত
  • চৌধুরী বোর্ডিং
  • উপহার হোটেল
  • হোটেল নিলয়
  • হোটেল হিল হেভেন
  • সার্কিট হাউস
  • হোটেল চেংগী
  • হোটেল সিটি পয়েন্ট ইন
  • হোটেল রংধনু
  • হোটেল শিল্পী ইত্যাদি।
রেস্টুরেন্টসমূহ উল্লেখযোগ্য কিছু রেস্টুরেন্ট:-

  • এফএনএফ রেস্টুরেন্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টার
  • ইসমাইল হোটেল
  • ব্যাম্বু শুট
  • হিল ফ্লেভারস
  • ফুডাং থাং
  • চাওমিন রেস্টুরেন্ট
  • গাং সাবারাং
  • পাজল ও চিম্বাল রেস্টুরেন্ট
  • গাজী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট
  • মক্কা হোটেল রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানী হাউস
  • শাপলা হোটেল রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানী হাউস
  • মনটানা হোটেল এন্ড কাবাব ঘর

এছাড়াও আরো অনেক নতুন পুরাতন রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য পাহারী খাবারের রেস্টুরেন্ট:-

  • IFC ক্যাফে (Instant Food Cafe)
  • জামতলা রেস্টুরেন্ট
  • ইজোড় রেস্টুরেন্ট
  • নগ্রাই ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট
  • বোম্বে শুট রেস্টুরেন্ট এন্ড ফুড ওয়ার্ল্ড ইত্যাদি।
বি.দ্রঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন থাকার এবং খাওয়ার হোটেল/রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়।

ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

 

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইল[email protected]

 

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/Birat২Bazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar

 
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ
১। রিসাং ঝর্ণা
২। হাজাছড়া ঝর্ণা
৩। হাতিমাথা

Leave a Reply